* আমলকি এক প্রকার ভেষজ ফল। আমলকি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Phyllanthus emblicaev Embilca officinalis । অমলকি গাছ ৮ থেকে ১৮ মিটিার উচ্চতা বিশিষ্ট হতে পারে, ঝরা পাতা প্রকৃতির। হালকা সবুজ পাতা, যৌগিক পত্রের পত্রক ছোট, ইঞ্চি লম্বা হয়। হালকা সবুজ স্ত্রী ও পুরুষফুল একই গাছে ধরে। ফল হালকা সবুজ বা হলুদ ও গোলাকৃতি ব্যাস। বাংলাদেমে প্রায় সব অঞ্চলে দেখা যায়।মলকি নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে, এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে। প্রাথমিক প্রমান পাওয়া গেছে যে, রিউমেটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওপোরোসিস রোগে আমলকির রস কিছু কাজ করে। কয়েক ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও এর কার্যকারিতার প্রমান পাওয়া গেছে। ইঁদুরের উপর গবেষণা চালিয়ে প্রমান মিলেছে যে, প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগেও আমলকি কার্যকর। প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের পরে ক্ষতিগ্রস্ত প্যানক্রিয়াস (অগ্ন্যাশয়)-এর ক্ষত সারাতে আমলকি কার্যকর। আমলকির ফল, পাতা, ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে কিছু রোগ নিরাময়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ এবং কিডনি-রোগ।
আমলকি মানুষের রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা হৃাস করতে পারে বলে প্রমাণ রয়েছে। ডায়াবেটিক ইঁদুরের উপর চালানো এক গবেষনায় দেখা গেছে, আমলকির রস রক্তের চিনির মাত্রা কমাতে পারে এবং লিভারের কর্মক্ষমতা পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সি বা এস্করবিক এসিড থাকে(৪৪৫ মিগ্রা/১০০ গ্রাম)। তা সত্ত্বেও আরো অন্যান্য উপাদান নিয়ে মতভেদ আছে এবং আমলকির এন্টি-অক্সিডেন্টরূপে কার্যকারিতার পেছনে মূল ভূসিকা ভিটামিন সি এর নয়, বরং এলাজিটানন্তু নামক পদার্থসমূহের বলে মনে করা হয়। যেমন এমব্লিকানিন-এ (৩৭%), এমব্লিকানিন-বি(৩৩%), পানিগ্লুকোনিন (১২%) এবং পেডাংকুলাগিন (১৪%) এতে আরো আছে পানিক্যাফোলিন, ফিলানেমব্লিনিন এ, বি, সি, ডি, ই এবং এফ। এই ফলে অন্যান্য পলিফেনলও থাকে। যেমন- ফ্ল্যাভোনয়েড, কেমফেরল, এলাজিক এসিড ও গ্যালি এসিড ও গ্যালিক এসিড।
ব্যবহার :
আমলকির ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুন বেশি ভিটামিন “সি” রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুন বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন “সি” রয়েছে।
একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন “সি” দরকার। দিনে দুটো আমলকি খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে। স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে আমলকি ফলের জুড়ি নেই। এ ছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুব উপকারী। লিভার ও জন্ডিস রোগে উপকারী বলে ফলটি বিবেচিত।
আমলকি, হরিতকী ও বহেড়াকে একত্রে ত্রিফলা বলা হয়। এ তিনটি শুকনো ফল একত্রে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা ছেঁকে খালি পেটে শরবত হিসেবে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়। বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকি ব্যবহার করা হয়। কাঁচা বা শুকনো আমলকি বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কাঁচা আমলকি বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দু তিন ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতাড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।
আমলকির ঔষধি গুণ :
ক্স আমলকি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।
ক্স বমি বন্ধে কাজ করে।
ক্স দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকির নির্যাস উপকারী।
ক্স এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিস্কের শক্তিবর্ধক।
ক্স ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতেও আমলকি দারুন সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুনের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।
ক্স বমি বন্ধে কাজ করে।
ক্স দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকির নির্যাস উপকারী।
ক্স এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিস্কের শক্তিবর্ধক।
ক্স ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকিতে প্রচুর পরিমাণ এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতেও আমলকি দারুন সাহায্য করে। আমলকির গুণাগুনের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।
আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
– ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকিতে যথেষ্ট পরিমাণ এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস।
– আমলকি ত্বক, চুল ও চোখ ভালো রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
– আমলকি হজমে সাহায্য করে ও স্টমাক এ্যসিডে ব্যালেন্স বজায় রাখে।
– আমলকি লিভার ভাল রাখে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মেন্টাল ফাংশনিং ভাল হয়।
– আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
– হার্ট সুস্থ রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে।
– শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কার্য্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, মাসল টোন মজবুত করে।
– লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
– জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।
– আমলকির জুস দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।
– পেটের জ্বালা জ্বালা ভাব কম রাখে। লিভারের কার্যকলাপে সাহায্য করে, পাইলস সমস্যা কমায়।
– শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। ব্রঙ্কাইটেস ও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী।
– আমলকির গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন। এটি খিদে বাড়াতে সাহায্য করে।
– এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
– আমলকিতে সামান্য লবণ, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর খেতে পারেন।
– আমলকি ত্বক, চুল ও চোখ ভালো রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
– আমলকি হজমে সাহায্য করে ও স্টমাক এ্যসিডে ব্যালেন্স বজায় রাখে।
– আমলকি লিভার ভাল রাখে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মেন্টাল ফাংশনিং ভাল হয়।
– আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
– হার্ট সুস্থ রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে।
– শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কার্য্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, মাসল টোন মজবুত করে।
– লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
– জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।
– আমলকির জুস দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।
– পেটের জ্বালা জ্বালা ভাব কম রাখে। লিভারের কার্যকলাপে সাহায্য করে, পাইলস সমস্যা কমায়।
– শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। ব্রঙ্কাইটেস ও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী।
– আমলকির গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন। এটি খিদে বাড়াতে সাহায্য করে।
– এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকি গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
– আমলকিতে সামান্য লবণ, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর খেতে পারেন।
– খাবারের সাথে আমলকির আচার খেতে পারেন। হজমে সাহায্য করবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন